আসমানের সীমানা পেরিয়ে

আসমানের সীমানা পেরিয়ে আজ ভূমি থেকে শত সহস্র মাইল দূরে চলে যাচ্ছি। অনেক উপরে; অনেএএএএএক বেশি উপরে। সূর্যের কাছে দিয়ে দূরের কোন নাম না জানা ছায়াপথের দিকে। ধুলি ঝড়ে উথাল-পাথাল মঙ্গলের পাশে দিয়ে যাবার সময় যেন বড় কিছু ধুলোর কণা চোখে লেগে গেল। কেমন ঝাপসা লাগছে সব। তীব্র আর ঝাপসা। ছায়াপথ নয়, আমার অভিযান সম্ভবত কালপুরুষ নীহারিকার দিকে। ওই দূরের চোখে নেশা ধরানো আলোক ঝলমল কালপুরুষ যেন দেখতে পাচ্ছি। বৃহস্পতি আর শনির বলয় ছুঁয়ে যাচ্ছি মাত্র। এ যেন এক অনাবিল শান্তির যাত্রা। পথে কোন পাহাড় নেই, উঁচুনিচু বন্ধুর পথ নেই। নেই জনমানবের হাতছানি। নেই রাস্তার সেই পুরাতন জঞ্জাল, সেই গাড়ির ভেঁপু, সেই চিৎকার চেঁচামেচি। সব কিছু কেমন শান্ত; কেমন নিবিড় স্নিগ্ধ। মনে হচ্ছে এই যাত্রার শেষ না হোক। কি হবে...বাকিটুকু পড়ুন

তিনটি গল্প এবং…

গল্প-০১ আশি বছর বয়সী মুহম্মদ শাহজাহান মিয়ার বকরির বাচ্চা হয়েছে। এই আনন্দ সংবাদ বাবাকে দেবার জন্য তার ছোট মেয়ে হালিমা বুশরি মোবাইল ফোনের দোকানে এসেছে। তার বাবা ঢাকায় থাকে। রিক্সা চালায় সেখানে। সাথে তার বড় ছেলে রাসেল আর তার বউ-বাচ্চাও থাকে। মাস শেষে শাহজাহান মিয়া ছয় থেকে সাতশ টাকার বাজার করে দেন ছেলের বউকে। তাতেই তারা খুশি। বাকি টাকা শাহজাহান মিয়া গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এমাসে তিনি তার বউকে সাড়ে চার হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। মেয়ের ছেলে হয়েছে গত মাসে। সে বাবার বাড়িতে মেহমান এসেছে। ওদিকে আবার শাহজাহান মিয়ার শাশুড়ি জমিরন বিবি তার মেয়ের কাছেই থাকেন। তাই সংসারে অনেক খরচ। বকরির বাচ্চার কথা শুনে খুশি হল শাহজাহান মিয়া। কিন্তু এই বকরির পেছনেও খরচ আছে। প্রতিদিন চল্লিশ টাকার চালের ভুসি খায় বকরিটা।...বাকিটুকু পড়ুন

একান্তে অসমাপ্ত

সন্ধ্যা সাতটা। বাস থেকে নামলাম। আহ! অনেকদিন পর গ্রামের বাড়ি এলাম। আমাকে নিবার জন্য কাদের ভাই এসেছেন। কাদের ভাই ভ্যান চালান। তবে শুধু দিনে। রাতকানা রোগের কারণে রাতে চালাতে পারেন না। আজ তার একটু অসুবিধাই হবে বৈকি। সেটা নিয়ে কাদের ভাইয়ের মাথা ব্যাথা নেই। আমাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, “আলা অসলো ভাই? এতো সান হইল ক্যানে? ভ্যানত উঠ চ যাই।” আমি বললাম, “চল কাদের ভাই।” আমাদের গ্রামের নাম ভবানীপুর। রানী ভবানীর নামে নাম। স্থানীয়ভাবে প্রচলিত নাম দেহনি। লোকে উচ্চারণ করে দেহুনি। এই নাম কোত্থেকে কীভাবে এলো জানি না। গ্রামে ঢুকতেই চামার দীঘি। তারপর ভবানীপুর মাদ্রাসা। আমাদের দাদাদের হাতে গড়া। গ্রামবাসীদের অর্থে চলে। প্রতিবছর এখান থেকে তিন জন করে হাফেজ বের হয়। মাদ্রাসা সংলগ্ন আমাদের পারিবারিক গোরস্তান। কাদের ভাইকে থামাতে বললাম।...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং!

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কি সেটা আমরা সবাই মোটামুটি জানি। সাধারণত প্রোগ্রামিং লেখার মাধ্যম বা ভাষা হল ইংরেজি। আমরা সচরাচর যেসব ল্যাংগুয়েজে(এই ল্যাংগুয়েজ হল প্রোগ্রামিং-এর বিভিন্ন প্রকারভেদ যেমন- সি, পাইথন, জাভা ইত্যাদি) প্রোগ্রামিং করি সেগুলোর বলতে গেলে সবগুলোই ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়। History of Programming Languages (HOPL) এর তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮৫০০ এর উপরে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজগুলোর মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরই লেখার ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহৃত। এর কারণ হতে পারে বেশির ভাগ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজগুলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত, অথবা শুধুমাত্র বেশীরভাগ(যেহেতু ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা) মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য। তথাপি ১৯৬৮ সালে প্রথম Non-English-based programming language হিসেবে ALGOL’68 কে পাঁচটি বিভিন্ন ভাষায় রূপান্তরের অনুমোদন দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে চাইনিজ, কোরিয়ান, আরবি, লাটভিয়ান প্রভৃতি ভাষায় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নির্মিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর(২০১৪) এর...বাকিটুকু পড়ুন