আমি আসব ফিরে (Aami Ashbo Phirey) লিরিক্স

নীল দত্ত হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, লেগে যাবে হঠাৎ, হয়তো নামবে এসিড বৃষ্টি, অসময়ে। হয়তো সূর্য্যের রঙ হয়ে যাবে ঘোলাটে, হয়তো গলে যাবে হিমালয়। তবু আসবো আমি তোমার পাড়ায় ফিরে আসবো আমি তোমার পাড়ায় তুমি থেকো দাঁড়িয়ে তোমার বারান্দায় আমি আসবো, ফিরে আসবো তোমার পাড়ায়। হয়তো সূর্য্যের তাপে ছারখার হয়ে যাবে হেলসিনকি, হয়তো বরফ পরবে কোলকাতায়, হয়তো ধূসর হয়ে যাবে দুনিয়ার রঙ। হয়তো চলবে না গাড়ি রাস্তায়। তবু আসবো আমি তোমার পাড়ায়, ফিরে আসবো আমি তোমার পাড়ায়। তুমি থেকো দাঁড়িয়ে তোমার বারান্দায় আমি আসবো, ফিরে আসবো তোমার পাড়ায়। দেখো বদলে যেতে হবেই, বদলায় পদবি বদলায় ঠিকানা বদলায় সময় বদলায় জামার ভিতর সকলের শরীর, বদলায় চাহিদা শিরায় শিরায়। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ সেটাও বদলে যায়। কে হিন্দু, কে জাপানি, কিসের দায়। যেটাই...বাকিটুকু পড়ুন

এলোমেলো শৈশব – ৩

[ছবিটি লেখকের হাতে আঁকা, প্রায় এক দশক আগের] শিরোনামটা “এলোমেলো শৈশব” দিবার একমাত্র কারণ, ঘটনাগুলোর সময়রেখা কোন নির্ধারিত ছকে বাঁধা নয়। ছোটবেলার যখন যে বিষয়টা মাথায় আসছে, সেটাই লিখে ফেলছি। ব্লগে লিখে রাখছি খুব বড় কোন উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। একান্তই নিজের জন্য! অনেক বয়স যখন হয়ে যাবে, বুড়িয়ে যাব যখন, তখন যদি নিজে পড়তে নাও পারি, নাতি-নাতনিদের অনুরোধ করব পড়ে শোনাবার জন্য। আর পাবলিকলি রাখা হচ্ছে এজন্য যে, কাছের মানুষগুলোর মন্তব্য-ভৎর্সনা থেকে তারা ধারণা পাবেন, আমার আশেপাশে কত রসিক বন্ধুবৎসল মানুষ ছিলেন। এই সিরিজ শুরু করা হয় ২০১৭ সালে। এটার একটা আগের পর্ব আছে। আগ্রহী পাঠক চাইলে পড়তে পারেন – এলোমেলো শৈশব – ২। আমার শৈশব গণতন্ত্র চর্চাঃ আগের পর্বে আমার স্কুলের কথা এসেছে। স্কুলটা একটু যে ভিন্ন তা বলার...বাকিটুকু পড়ুন

সাদাসিধে কথা

রাত সোয়া আটটা। আমার বাবা ফোন দিয়েছেন। তিনি একজন ব্যস্ত মানুষ হওয়ায় এমনিতেই তাঁর কাছে এমন সময় ফোন আশা করিনি। তবে হুটহাটই নানান তথ্য জানবার জন্য ফোন দেন। ফোন দিয়ে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করেন। চাকরি বা পড়ার খোঁজ নেন। তারপর তাঁর দরকারি তথ্যটা অনুসন্ধান করেন। কিন্তু আজ কুশল বিনিময়ের ধার দিয়েও গেলেন না। প্রথম যে প্রশ্নটা করলেন সেটা হল, “ব্যাটা জাফর ইকবাল সাহেবকে কে অ্যাটাকটা করতে পারে বলোতো।” এ নিয়ে কিছুক্ষণ কথা হলো। ফোনটা উদ্বিগ্নের মতো রেখে দিলেন। মনে হলোযেন খুব আপন কোন লোকের উপরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে! আসলেই তো। জাফর ইকবাল স্যার তো আমাদের আপনজনই। তাই না? এই লেখার শিরোনামটাও কিন্তু তাঁর লেখার শিরোনাম থেকে ধার করা। লোকটার সাথে এইতো সেদিন ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুলের হোস্টেলে বসে বসে ‘অবনীল’ বইটির মাধ্যমে...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের পথচলা, আমাদের পথে (পর্ব ৫)

লেখাটি ব্লগ | হিউম্যানস অব ঠাকুরগাঁও এ সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়। আমাদের পথচলা আমাদের পথে (পর্ব ৪) এবছর বইমেলায় একটি কবিতার বই বের করেছি। যা এবারে আমার প্রকাশিত একমাত্র গ্রন্থ। বইয়ের নাম- ‘বেতাল টুয়েন্টি ফাইভ’। বইমেলা ছাড়াও রকমারি এবং পুস্তকবিডির অনলাইন বাজারে বইটি এই মুহূর্তে বেস্টসেলার বলে জেনেছি! বুদ্ধিমান পাঠক বইটার নাম দেখে আমার সস্তা চালাকি ধরে ফেলবেন। জি হ্যা। নামটি এসেছে ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি ‘ গ্রন্থ থেকে। বেতাল পঞ্চবিংশতি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত প্রথম গ্রন্থ। মৌলিক রচনা বললে সম্ভবত ঠিক হবে না। অনুবাদ গ্রন্থই বলা চলে। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর লল্লুলাল রচিত হিন্দি “বেতাল পচীসী” গ্রন্থের আলোকে এই গ্রন্থ রচনা করেন। আপাতদৃষ্টিতে অনুবাদ মনে হলেও তিনি হুবহু অনুবাদ না করে মূল গ্রন্থের আলোকে এটি রচনা করেন। তবে আমি শুধু নামটাই ধার করেছি। আমার কবিতায় রাজা...বাকিটুকু পড়ুন

ঠাকুরগাঁও-এর একজন অনাদৃত সন্তানঃ ভাষাসৈনিক মরহুম দবিরুল ইসলাম

[ ব্লগটি ব্লগ | হিউম্যানস অব ঠাকুরগাঁও এ জানুয়ারি ২২, ২০১৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় ] ক’দিন থেকে খুব মনোযোগ দিয়ে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ছি। এর মধ্যে একজন রাজনীতিকের নাম বারবার এসেছে। তিনি হচ্ছেন, ভাষাসৈনিক মরহুম দবিরুল ইসলাম সাহেব। তার সম্পর্কে কীভাবে লিখব কোত্থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। এটুকু বলে শুরু করি, তিনি আমাদের ঠাকুরগাঁও-এর সন্তান এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রথম সভাপতি। আমরা যেসময়ে ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুলে পড়েছি, সেসময়ের জাতীয় রাজনীতির ধারাটা কিঞ্চিৎ ভিন্ন থাকবার কারণে কি না জানি না, এই মহান ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে তেমন কিছুই জানবার সুযোগ হয়নি। স্কুলের নাম টানলাম একারণে যে, অনেকেই হয়তো জানেন না, তিনি আমাদের এই স্কুল থেকেই ১৯৩৮ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেসন পাস করেন! মরহুম দবিরুল ইসলাম তত্কালীন বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমার...বাকিটুকু পড়ুন