বই পড়া, পড়া বই – ‘এক-এগারো’

বই পড়া, পড়া বই – ‘এক-এগারো’

সামনেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে, একজন সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ, সেনা মনস্তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বুঝতে মহিউদ্দিন আহমদের বইটি হাতে নিয়েছি। বইটি বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন রূপান্তরের চিত্র তুলে ধরে, সরাসরি উদ্ধৃতি ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে লেখক নিরপেক্ষতার জায়গা নিশ্চিত করেছেন। লেখক সময়ের কার্যকলাপের সফলতা ও ব্যর্থতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নতুন মাত্রা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষভাবে আমি এক-এগারোর সময়ের ঘটনাগুলো জানার জন্য এই বইটি রিকমেন্ড করব।

সাদাসিধে কথা

রাত সোয়া আটটা। আমার বাবা ফোন দিয়েছেন। তিনি একজন ব্যস্ত মানুষ হওয়ায় এমনিতেই তাঁর কাছে এমন সময় ফোন আশা করিনি। তবে হুটহাটই নানান তথ্য জানবার জন্য ফোন দেন। ফোন দিয়ে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করেন। চাকরি বা পড়ার খোঁজ নেন। তারপর তাঁর দরকারি তথ্যটা অনুসন্ধান করেন। কিন্তু আজ কুশল বিনিময়ের ধার দিয়েও গেলেন না। প্রথম যে প্রশ্নটা করলেন সেটা হল, “ব্যাটা জাফর ইকবাল সাহেবকে কে অ্যাটাকটা করতে পারে বলোতো।” এ নিয়ে কিছুক্ষণ কথা হলো। ফোনটা উদ্বিগ্নের মতো রেখে দিলেন। মনে হলোযেন খুব আপন কোন লোকের উপরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে! আসলেই তো। জাফর ইকবাল স্যার তো আমাদের আপনজনই। তাই না? এই লেখার শিরোনামটাও কিন্তু তাঁর লেখার শিরোনাম থেকে ধার করা। লোকটার সাথে এইতো সেদিন ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুলের হোস্টেলে বসে বসে ‘অবনীল’ বইটির মাধ্যমে...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধু, বন্ধুত্ব, বন্ধুতা…

জীবনের বর্ণিল গতিপথে সব সময় একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ। এ পৃথিবীতে কেউ একা থাকতে আসেনি। যারা সন্ন্যাসী হয়েছেন, তাদের ব্যাপারটা এরকম যে তাঁরা নিজেরাই বেছে নিয়েছেন সে পথ। বাধ্য করা হয়নি তাদের। তাই, সন্ন্যাসী বা একা জীবন বেছে নেওয়া মানুষদের জন্য এ লেখাটি একেবারেই অখাদ্য এবং অনেকটা অনর্থক। কিন্তু যারা জীবনটাকে একটু হেসেখেলে একটু হালকা করেই নিয়ে বাঁচতে চায় তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না, তাই না? আমি বলছি বন্ধুত্বের কথা। যেখানে কোন প্রাদেশিক আইন নেই, খাটেনা কোন বাঁধাধরা নিয়মনীতির খেরোখাতার বর্ণমালা। কথাগুলোর সত্যতা নির্ণয় করা যায় একেকভাবে। যেমন বয়স। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বয়সটা যেন কোন ব্যাপারই না। অনেকের ক্ষেত্রে এটা অবশ্য মনস্তাত্ত্বিক একটা ব্যাপার। কিন্তু ঘুরে ফিরে একই বিষয় দাঁড়ায়। ওই যে, মন! অনেক আগে বয়স যখন অল্প ছিল, কাছের...বাকিটুকু পড়ুন

নারী, শ্রদ্ধা তোমার প্রতি

না, ফেইসবুক কাভার ফটো বদলানো তো হল অনেক। অনেকবারই তো এই দিনে কাজী নজরুলের নারী কবিতার ওই বিশেষ দুটি লাইন দিয়ে স্ট্যাটাস দিলাম। নারীবাদী কত ছবি টবি দিয়ে ফেইসবুক টাইমলাইন বোঝাই করে দিলাম। আজ আর না। কট্টরপন্থীদের মত এসব একেবারেই বাদ দিতে বলছিনা। ওসবও অনেককে অনুপ্রেরণা যোগায়। আসুন না সেই সাথে কয়েকটা ভালো কাজ করি, কমপক্ষে করবার চেস্টা করি। বাসায় আপনার মাকে কখনও মুরগির রানটা খেতে দেখেছেন? সবচেয়ে মজার রান্নাগুলো কার পাতে যায় আগে? আমার কিংবা আপনারই, তাই না? আজই করতে হবে এমন না… চলুন একদিন মাকে বলে বসি, আম্মু রানটা তুমিই খাও তো, প্রত্যেকদিন রান ভালো লাগে না। দেখবেন, আপনার মা কেঁদে ফেলেছেন! প্রতিদিন বাসে বসে কাজের উদ্দেশ্যে যখন যাচ্ছি, দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে বা বয়স্ক লোকটাকেই বসতে দেই আমাদের...বাকিটুকু পড়ুন