আমাদের পথচলা, আমাদের পথে (পর্ব ৩)

আমাদের পথচলা আমাদের পথে (পর্ব ২) পড়শু ঈদ। আজ অফিসে শেষ কর্মদিবস। সবাই খুশি খুশি মনে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। আমার মন কিছুতেই খুশি হতে পারছে না। এর কারণ দুটো। এক, আমি এখনও স্যালারি পাইনি (বোনাস তো দূর কি বাত)। দুই, এ ঈদে বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না। দ্বিতীয় কারণটা যে প্রথম কারণেরই উপজাত তা আর নিশ্চয়ই বলা লাগে না! অর্থনৈতিক মন্দার পরিণামে বাড়ি যাচ্ছি না আমরা। এ নিয়ে নিরুর খুব একটা মাথাব্যথা হবার কথা না। জানি না কি হবে। ওর ধারণা আজকে অবশ্যই আমাকে হাতে কিছু না কিছু ধরিয়ে দিবেন সেলিম ভাই। সেলিম ভাই আমাদের অফিসের একাউন্টেন্ট। ভদ্র নম্র চমৎকার মানুষ। সারাদিন অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলো পড়েন। অদ্ভুত সে সংবাদ মাধ্যমগুলোর নাম। যেমন, আজকেরতাজাখবর২৪ডটকম। এই পোর্টালগুলোর লোকেরা যেভাবেই হোক নামের সাথে...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের পথচলা, আমাদের পথে (পর্ব ২)

আমাদের পথচলা আমাদের পথে (পর্ব ১) স্বপ্নের ঠিক এ পর্যায়ে বুঝতে পারলাম গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছি, নিরুকে দেখতে পাচ্ছি না। তবে ওর চিৎকার শুনতে পাচ্ছি, ‘মোষের মত ঘুমাচ্ছো কেন, ওঠো। এই ওঠো।’ মোদ্দা কথা, নিরু এক গ্লাস পানি আমার মুখে ছিটিয়ে ঘুম ভাঙানোর তার অভিনব কৌশলটি কাজে লাগাচ্ছিল এতক্ষণ! আমি শান্তভাবে উঠে বসলাম। ঘুমের ঘোরেই কি না জানি না নিরুকে অ্যানিভারসারির শুভেচ্ছা না জানিয়ে বলে বসলাম, ‘শুভ জন্মবার্ষিকী নিরু। জীবন আলোকিত হোক। মঙ্গলময় হোক মুহূর্তগুলো।’ এই লাইন তিনটা আমার বান্ধা লাইন। যে কারো জন্মদিনে অনলাইনে অফলাইনে এই তিন লাইন দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। নিরুর চেহারা অগ্নিমূর্তি ধারণ করল। তবে কিছু বলল না। শুধু বলল আজ কত তারিখ? আমি বললাম, ‘আজ ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ। বিশ্ব রেডিও দিবস। দেশবরেণ্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি কবছর আগে আজকের...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের পথচলা, আমাদের পথে (পর্ব ১)

নিরুর খুব রাগ। খুবই। আজ ওকে বারোটা বাজার ৪০ মিনিট দেরিতে উইশ করেছি দেখে রাতে আর পাশে শুতে দেয়নি! ড্রয়িং রুমে আধাশোয়া হয়ে লিখছি। আমি খুচরা লেখক। হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিকে স্মরণ করে তার লেখাকে শত ভাগ অনুসরণ-অনুকরণ করে বাজারে ৯ টি বই বের করেছি। আসে পাশে যা দেখি এবং দেখি না, তাই নিয়ে লিখে ফেলি। লেখার মান নিয়ে কোন চিন্তা করি না। কারণ, আমরা যখন ভার্সিটি পড়ুয়া ছিলাম তখন পুটুনদা’ নামে একজন মহান লেখক ‘লেখক হবার ২৩১ টি নিয়ম’ বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছিলেন, লেখার মান বিবেচ্য নয়। আজকের নিম্নমানের চণ্ডাল লেখা কাল হতে পারে হরিশ্চন্দ্র অথবা শ্মশানের শিবের মত মাননীয়। আজকের এই লেখাই হতে পারে কালকের মহাযোগী সম্রাটের শেষ চিঠির মত মূল্যবান। কাল তোমাকে ‘ওরাই’ অর্ঘ্য দান করবে, করবে নান্দী-পাঠ। আমি সেদিন ভেবে...বাকিটুকু পড়ুন

কথকতার এক যুগ

০৯.১১.১২ আমার কেন এমন হচ্ছে বলতো। তুমি আমার কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছ, তাই না। দিনে কি তোমার একবারও মনে পড়ে না আমি বলে তোমার কেউ আছে?… _________________ ০১.০২.২০১৩ তোমার সাথে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে খুব।… _________________ ০৮.০২.২০১৩ ৯ বছর আগে এই দিনটাতে খুব সংকোচ নিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছিলে। তোমার আমার দিকে first look… আজকের পেপারে কি লেখা জানো, মানুষ পাগল হলে মানুষের মাথা থেকে যে হরমোন secrete হয় মানুষ প্রেমে পড়লেও সেটাই secrete হয়… _________________ বন্যার [কাল্পনিক চরিত্র! লেখকের অন্যান্য লেখায় এই নারি চরিত্রের অবতারণা রয়েছে] তিন বছর আগের লেখাগুলো দেখছিলাম। হাতের কাছে এগুলোই ছিল। আর ছিল ওর হাতের একটা দস্তখৎ, একটা উর্দিপরা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। তবে সেটা বাবা আটক করায় এই মুহুর্তে নিখোঁজ! বন্যাকে আমার লেখা চিঠিপত্র...বাকিটুকু পড়ুন

আসমানের সীমানা পেরিয়ে

আসমানের সীমানা পেরিয়ে আজ ভূমি থেকে শত সহস্র মাইল দূরে চলে যাচ্ছি। অনেক উপরে; অনেএএএএএক বেশি উপরে। সূর্যের কাছে দিয়ে দূরের কোন নাম না জানা ছায়াপথের দিকে। ধুলি ঝড়ে উথাল-পাথাল মঙ্গলের পাশে দিয়ে যাবার সময় যেন বড় কিছু ধুলোর কণা চোখে লেগে গেল। কেমন ঝাপসা লাগছে সব। তীব্র আর ঝাপসা। ছায়াপথ নয়, আমার অভিযান সম্ভবত কালপুরুষ নীহারিকার দিকে। ওই দূরের চোখে নেশা ধরানো আলোক ঝলমল কালপুরুষ যেন দেখতে পাচ্ছি। বৃহস্পতি আর শনির বলয় ছুঁয়ে যাচ্ছি মাত্র। এ যেন এক অনাবিল শান্তির যাত্রা। পথে কোন পাহাড় নেই, উঁচুনিচু বন্ধুর পথ নেই। নেই জনমানবের হাতছানি। নেই রাস্তার সেই পুরাতন জঞ্জাল, সেই গাড়ির ভেঁপু, সেই চিৎকার চেঁচামেচি। সব কিছু কেমন শান্ত; কেমন নিবিড় স্নিগ্ধ। মনে হচ্ছে এই যাত্রার শেষ না হোক। কি হবে...বাকিটুকু পড়ুন