বই পড়া, পড়া বই – ‘এক-এগারো’
সামনেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে একজন সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলোর স্বরূপ, অসামরিক প্রশাসনের চিন্তাধারা, সেনা মনস্তত্ত্ব ও সর্বোপরি রাজনৈতিক সত্তাসমূহের ভাবাদর্শ ও চিন্তন কৌশল বোঝার জন্য বইটা হাতে নেই। রাষ্ট্রযন্ত্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রিশেপিং এর মধ্য দিয়ে যায়, অন্তত বাংলাদেশে তার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে কয়েকবার। মহিউদ্দিন আহমদের এই বইটা একটা নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে সেই অনুবর্তনের একটা কলম চিত্র বলা যায়। সুখপাঠ্য বইটায় লেখক সরাসরি উদ্ধৃতি আর সাক্ষাৎকারের বিন্যাস-সমাবেশ করে তার নিরপেক্ষতার জায়গাটা নিশ্চিত করেছেন, বিষয়টা ভালো লাগার মতো। সরাসরি কোন মতামত চাপিয়ে দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করেননি লেখক, একই সাথে ওই সময়টার কার্যকলাপগুলোর সাকসেস এবং ফেইলিয়র থেকে যা শেখার আছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নতুন মাত্রা যেগুলো যোগ হয়েছে তা তুলে ধরেছেন নিজের ভাষ্যে।
ইয়াজউদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মইনউদ্দীন ত্রয়ীর এক-এগারোর মাতাল হাওয়ার সময়টা সচেতনভাবে জানার জন্য বৃহৎ কলেবরের এ বইটা আমি রিকমেন্ড করব। লেখকের বেলা-অবেলা বইটা আগে পড়েছি, নেক্সট পড়ব জাসদের উত্থান-পতন।
বইটা নিয়ে একটা পডকাস্টে (বই পড়া, পড়া বই ০১ শিরোনামে) কথা বলেছি, নিচের প্লেয়ারে শুনে দেখা যেতে পারে –
সামনে পড়া বইগুলো নিয়ে আরও লিখার চেষ্টা করব।